বকশীগঞ্জে নৌকা দেখলেই ছুটে আসছেন বানভাসি মানুষ
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) সংবাদদাতা।
বকশীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি দুভোর্গ। নানা প্রতিকুল পরিবেশের কারণে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হয়ে আসছে বানভাসি মানুষ। তারা নৌকা দেখলেই ত্রাণের আশায় ছুটে আসছেন। অনেক নারী পুরুষ আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানিতেই দাঁড়িয়ে থাকছেন ত্রাণের আশায়। অনেকেই জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে সংগ্রহ করছেন ত্রাণ সামগ্রী। এদিকে সরকারি ভাবে বরাদ্ধকৃত ত্রাণ চাহিদার চেয়ে কম বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।খবর ক্রাইম রিপোর্টার ২৪.কমের।
জানা গেছে, গত সাত দিনের ভয়াবহ বন্যায় বকশীগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলার মেরুরচর, সাধুরপাড়া, নিলাক্ষীয়া,কামালপুর,বাট্টাজোড় ও বগারচর ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বসতভিটা, ফসলি জমি, বাজারঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি। তাই বসতবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন তারা। রাস্তা ঘাট-ব্রিজ কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় এবং বেশিরভাগ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বন্যাকবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি,খাবার স্যালাইন ও শুকনা খাবারের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বানভাসি মানুষ। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে তিল ধারনের ঠাই নেই। তাই বাধ্য হয়ে উচু সড়কে খোলা আকাশের নিচে ঠাই নিয়েছে হাজারো বানভাসি পরিবার। ফলে পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। তাই নৌকা দেখলেই বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে ত্রাণ পাওয়ার আশায় ঝাপিয়ে পড়ছে পানিতে।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাসান মাহবুব খান জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৭৫ মে.টন চাল,১৯১ কার্টুন শুকনো খাবার ও নগদ ১ লাখ টাকা ৪০ হাজার টাকা বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। যা বানভাসীদের মাঝে বিতরণ অব্যাহত আছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের পাশে সরকারের নির্দেশে প্রশাসন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সহায়তা অব্যাহত থাকবে।খবর ক্রাইম রিপোর্টার ২৪.কমের।