প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২২(সোমবার) ০৯:৩২ পিএম
রেলের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আন্দোলনরত মহিউদ্দিন রনি ২০তম দিনে এসে ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী বরবার স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন রনি।খবর ক্রাইম রিপোর্টার২৪.কমের।
আজ (২৫ জুলাই) সোমবার বিকেলে রনি সহযোগীদের নিয়ে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যান। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে সায়েম খান বলেন, আমাদের দল এবং দলের বাইরে কোনো আবেদন যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে থাকে, সেটি এখানে জমা দিলে আমরা তাকে সরবরাহ করে থাকি। মহিউদ্দিন রনি রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি স্মারকলিপি আমাদের নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর দিয়েছেন। আমরা তাকে আশ্বস্ত করতে চাই এই স্মারকলিপিও আমাদের নেত্রী বরাবর পৌঁছে দেব।
রনি বলেন, আমার যতটুকু সুযোগ ছিল আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আজ সুযোগ হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়ার, সেটি দিলাম। নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী একটা আশ্বাস দেবেন। রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে আমার এবং সারা দেশের মানুষের যে ছয় দফা দাবি সেটি যেন অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা হয়। আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি পড়লে এ ৬দফা দাবির বাস্তবায়ন হবে।
গতকাল (২৪জুলাই)রোবাবর রনির এ আন্দোলনকে সমর্থন দিতে কমলাপুর যান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর।
এর মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী রনিকে নিয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষের সাথে দেখা করতে গেলে তাকে স্টেশনে ঢুকতে দেয়নি রেলওয়ে পুলিশ। পরে তিনি সেখানেই অবস্থান শুরু করেন। এ অবস্থা দেখে পরে রাত ৯টার দিকে সেখানে যান জোনায়েদ সাকি এবং ১০টার কিছু সময় পরে যান নুরুল হক নুর। তবে তারা কেউই রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎ পাননি। সাক্ষাৎ না পেয়ে অবশেষে রাত ১১টার দিকে তারা কমলাপুর থেকে ফিরে আসেন।খবর ক্রাইম রিপোর্টার২৪.কমের।