জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ভীমপুরে আদীবাসী পল্লীতে নিজের ছেলে, শ্বাশুড়ি, শ্যালিকাসহ চারজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ঘরজামাই সুমন হেম্ব্রম (৩৫)। পুলিশ তাকে আটক করেছে।
স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের জের ধরে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন। শুক্রবার (১৯ জুন) দিবাগত রাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অভিযুক্ত জামাই সুমন হেম্ব্রম (৩৫) ও তার স্ত্রী সিলভিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। সিলভিয়াও গুরুতর আহত। হত্যাকাণ্ডে নিহতরা হলেন- সুমনের শ্বাশুড়ি সন্ধ্যা রানী হাসদা (৪৫), ছেলে সানী হেম্ব্রম (৬), শ্যালিকা তেরেজা মারাণ্ডী (২৩) ও ফুফা শ্বশুর মার্কেল মারাণ্ডী (৫০)।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রীর পরকীয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বাধা দিয়ে আসছিলেন সুমন। বিষয়টি তিনি শ্বাশুড়ি ও শ্যালিকাকে বারবার জানালেও তারা এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো প্রশ্রয় দিয়ে আসছিলেন। শুক্রবার রাতে স্ত্রীর সিলভীয়ার পরকীয়া প্রেম নিয়ে সুমন হেম্ব্রমের বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে স্ত্রীকে মারধর করতে থাকলে শ্বাশুড়ি সন্ধ্যা রানী এগিয়ে আসলে সুমন তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় ছেলে সানী হেম্ব্রমকে চাপাতি দিয়ে কোপায় সুমন।
শ্যালিকা তেরেজা মারান্ডী ও ফুফা শ্বশুর মার্কেল মারান্ডী এগিয়ে এলে তাদেরকেও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সুমন। সুমন উপজেলার আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের নওয়ানা গ্রামের নবীন হেম্ব্রমের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে ব্যবহৃত একটি চাপাতি উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠনো হয়েছে।