ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য এবং ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী পবিত্র শবে কদর পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে ভিড় বেড়েছে প্রতিটি মসজিদে। মাগরিবের পর থেকেই বিভিন্ন মসজিদে শবে কদরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। রাতভর চলবে এসব আনুষ্ঠানিকতা। মুসল্লিরা এই রাতটি ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে কাটাবেন। এছাড়া নারীরাও ঘরে ইবাদত-বন্দেগির মধ্যে কাটাচ্ছেন পবিত্র এই রাতটি।
প্রতিবছর মাহে রমজানের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে শবে কদর পালন করা হয়।
ইসলাম ধর্ম অনুসারে, এ রাতে ইসলামের শ্রেষ্ঠ নবী মহানবী হজরত মোহাম্মদের (সা.) অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এই রাতে। তাই মুসলমানদের কাছে কদরের রাতের গুরুত্ব অপরিসীম এবং এই রাত অত্যন্ত পুণ্যময় হিসেবে বিবেচিত।
কোরআনের সুরা কদরে উল্লেখ আছে, হাজার মাস উপাসনায় যে পূণ্য হয়, কদরের এক রাতের উপাসনা তার চেয়ে উত্তম। লাইলাতুল কদরের রাতে সৎ এবং ধার্মিক মুসলমানদের ওপর আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। লাইলাতুল কদরে মুসলিমরা আল্লাহর কাছে মাগফিরাত, নাজাত ও ক্ষমা পাওয়ার পরম সুযোগ লাভ করে।
লাইলাতুল কদর সম্পর্কে মহানবী বলেন, যে ব্যক্তি এ রাত ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করবে, আল্লাহ তাঁর পূর্বর সব গুনাহখাতা মাফ করে দেবেন। (বুখারি)
হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী, লাইলাতুল কদরের রজনীতে যে বা যারা আল্লাহর আরাধনায় মুহ্যমান থাকবে, স্রষ্টা তাঁর ওপর থেকে দোজখের আগুন হারাম করে দেবেন।
শবে কদর উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আজ ওয়াজ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার সরকারি ছুটি থাকবে।
পবিত্র এই রজনী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আলাদা বাণী দিয়েছেন।