সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজনের বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও টাকার বিনিময়ে খুনিদের রক্ষার চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এই তদন্ত প্রতিবেদনে যেসব পুলিশ সদস্যের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তদন্ত কমিটি সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে তাদের ৪২৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয়। তবে তদন্তকালে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে কি না এ ব্যাপারে কমিটির কেউই মুখ খুলতে রাজি হননি।
তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. রোকন উদ্দিন। তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য ছিলেন অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) জেদান আল মুসা ও উপকমিশনার মুশফিকুর রহমান।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলীর কুমারগাঁওয়ে খুঁটিতে বেঁধে পৈশাচিক নির্যাতন করে খুন করা হয় সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেয়ালি গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে ১৩ বছর বয়সী শিশু রাজনকে।
ওই দিন রাতে রাজনের বাবা আজিজুল ইসলাম জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন ও এসআই আমিনুল ইসলাম তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে এসআই আমিনুল তাকে গলাধাক্কা দিয়ে থানা থেকে বের করে দেন। পরে পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তা মিলে ফোনে রাজনের খুনিদের সঙ্গে কথা বলেন।
রাজনের পরিবারের অভিযোগ পরিদর্শক আলমগীর ও এসআই আমিনুল মিলে ১২ লাখ টাকার চুক্তিতে রাজনের প্রধান ঘাতক কামরুলকে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন।