রাজধানীর একটি আবাসিক হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু ছাত্রীকে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের গতকাল রবিবার পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে ধর্ষণে অভিযুক্ত দুই বন্ধু শাওন ও নিলয়কে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে দাবি তদন্ত সংশ্লিষ্টদের। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মৌচাকের অদূরে একটি আবাসিক হোটেলে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান ক্রাইম রিপোার্টার ২৪.কমকে বলেন, ধর্ষণের শিকার ছাত্রী ঘটনাস্থলটি শনাক্ত করতে পারেননি। পুলিশ তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতারে তত্পর রয়েছে পুলিশ। শাওনের মোবাইল ফোন নম্বর ঘটনার পর থেকে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের পর শনিবার এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। এরপর তাকে প্রয়োজনীয় চিকিত্সা ও ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়।
হাসপাতালে ওই ছাত্রী ক্রাইম রিপোার্টার ২৪.কমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কোচিং করার জন্য দুই মাস আগে তিনি জামালপুরের সরিষাবাড়ী থেকে ঢাকায় আসেন। তিনি মৌচাক এলাকার একটি মেসে থেকে কোচিং ক্লাস করছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত নোট দেয়ার কথা বলে গত শুক্রবার পূর্বপরিচিত যুবক শাওন তাকে ডেকে পাঠায়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মৌচাক এলাকায় তাদের দেখা হয়। শাওনের সঙ্গে ছিল তার বন্ধু নিলয়। তারা রিকশায় করে কিছু দূরের এক আবাসিক হোটেলে যান। সেখানেই দু’জনে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। রমনা থানার ওসি জানান, ঘটনাস্থল কোন এলাকায় তা জানাতে না পারলেও ধর্ষিতা ছাত্রী বলেছেন, সেই হোটেলে লিফট আছে। কিন্তু লিফট আছে এমন কোনো হোটেল রমনা থানা এলাকায় নেই। সেটি বাসা কি-না খুঁজে দেখা হচ্ছে।