‘পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতা ছাড়া সঠিক বিচার সম্ভব নয়’
পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতা ছাড়া সঠিক বিচার করা সম্ভব হয় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তবে নানা ধরনের প্রতিকুলতা মোকাবেলা করেও বিচার বিভাগ পিছপা হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জুডিশিয়াল কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ আমুল পরিবর্তনে দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রতি জেলায় ২৬ থেকে ৪০% মামলার ডিজপোজাল হয়েছে। বিচারকরা মামলা নিষ্পতি করতে চাইলেও আইনজীবীদের কারণে অনেক সময় তা সম্ভব হয় না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিকেলে আইনজীবীরা আদালতে না থাকায় অনেক সময় বিচারকার্য চালানো যায় না। আশা করি তারা আদালতে উপস্থিত থেকে এ কাজে বিচারকদের সহযোগীতা করবেন। এ সময় তিনি আগামী ৬ মাসের মধ্যে ৫০% মামলা ডিজপোজাল করার লক্ষ্যে বিচার বিভাগকে কাজ করার নির্দেশ দেন।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, হত্যা মামলার ক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের সময় চিকিৎসকরা নিজে উপস্থিত থাকেন না। অনেক সময় তারা ডোমদের কাছ থেকে জেনে প্রতিবেদন তৈরী করেন। এ নিয়ে মামলা চালাতে জটিলতা দেখা দেয়।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় দুর্বলদের এফআইআর পুলিশ গ্রহণ না করায় তারা আদালতের দ্বারস্থ হন। এতে আদালতের বাড়তি সময় ব্যয় হয়। এ সময় শাস্তিমূলক অপরাধ হলে প্রতিটি থানায় মামলা নিতে পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহনের নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, বিচারকার্যে অগ্রগতির লক্ষে প্রতি বিচারককে ল্যাপটপ দেয়া হবে। আগামীতে পাবলিক সাক্ষীদের টিএ-ডিএ প্রদানের পাশাপাশি নারী সাক্ষী ও বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মানেরও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
হাউজি, জুয়া ও কুপন খেলা বন্ধে যদি কেউ হাইকোর্টে রিট করে সুবিধা নেয়ার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, এ ক্ষেত্রে আমি নিজে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
জেলা ও দায়রা জজ মোঃ জাফরোল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন ও আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ্যাডঃ নুরুল আমিন বক্তব্য রাখেন।
এ সময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিষ্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিভিল সার্জন দেবব্রত রায়, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এএইচএম আনোয়ার পাশা, পিপি এ্যাডঃ আব্দুর রহমানসহ জজ আদালতের বিচারকগণ, জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটগন ও বিভিন্ন বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।