কক্সবাজারজুড়ে উদ্বেগ-আতঙ্ক নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে মানুষ
কক্সবাজারে ঘুর্ণিঝড় কোমেন আতঙ্কে সময় পার করছে মানুষ। লোকজন রাতেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসেন। জেলা প্রশাসন কার্যালয়, পৌরসভা ভবন, বিভিন্ন স্কুল কলেজ ভবন হয় তাদের আশ্রয়স্থল। ৭ নম্বর মহা বিপদ সংকেত ঘোষণা পর থেকে উপকূলীয় এলাকায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং শুরু হয়। প্রথম দিকে মানূষ আশ্রয় কেন্দ্রে না আসলেও শেষ রাতে আশ্রয় কেন্দ্রে আসা শুরু করে। রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরাও সচেতনতার সাথে কাজ করছেন।
ভোর রাত থেকে ধমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপে বেশ কিছু গাছপালা ও বসত বাড়ী উপড়ে পড়েছে বলে সেখানকার জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। সেন্টমার্টিনে ৩টি নৌকা নোঙ্গররত অবস্থায় ডুবে গেছে। তবে কোন প্রানহানীর খবর পাওয়া যায়নি। আজ দিনের জোয়ারে স্বাভাবিকের চেয়ে ২/৩ ফুট পানি বেশি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। কক্সবাজারে এখনো বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক ক্রাইম রিপোর্টার ২৪.কমকে বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এটি এখন শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। যার নামকরণ করা হয়েছে কোমেন।
ঘূর্ণিঝড়টি আজ বৃহ¯পতিবার দুপুর থেকে বিকাল নাগাদ চট্টগ্রাম, বরিশাল, কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এটি এ মুহুর্তে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৮০ কিলোমিটার ও চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৫ কিলোমিটার পশ্চিম উত্তর-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি ক্রমশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী হোসেন ক্রাইম রিপোর্টার ২৪.কমকে জানিয়েছেন, আজ জেলার সকল স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে সেখানে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কক্সবাজার বিমানবন্দর কে। ঘূর্ণিঝড়
মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সর্বাত্মক প্রস্তুত রয়েছে।