বসতঘরে জাল টাকার মিনি ‘টাকশাল’
আদাবর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৫ লাখ জাল টাকা এবং টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। জাল টাকা পরিবহনের জন্য তারা মোটরসাইকেলের সামনে ‘প্রেস’ লিখে চলাচল করতেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন জামিলা আক্তার মানিজা ও হামিদুর রহমান।
র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান ক্রাইম রিপোর্টার ২৪.কমকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে বায়তুল আমান হাউজিংয়ের ১৫ নম্বর রোড থেকে জামিলাকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই এলাকার ৯০৩ নম্বর বাসার ষষ্ঠ তলার ৫/এ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে হামিদুরকে জাল টাকা তৈরির সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।ঐ বাসা থেকে ২৫ লাখ সাত হাজার ৫শ’ টাকা মূল্যমানের জাল নোট, টাকার নিরাপত্তা সুতাযুক্ত কাগজ পাঁচ কেজি, টাকা তৈরির ট্রেসিং কাগজ ৩০ কেজি, ল্যাপটপ একটি, প্রিন্টার চারটি, এক হাজার টাকার ছাপযুক্ত কাগজ ১১০টি, জাল টাকা তৈরির ডাইস ১২টি, বোর্ড দুইটি, লেমিনেটিং মেশিন একটি, কাঁচের ফ্রেম চারটি, কয়েকটি প্রিন্টার কার্টিজ, জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহূত প্রায় ২০ কেজি বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান, জাল টাকা তৈরির নিরাপত্তা সুতার রোল চারটি, কাটা নিরাপত্তা সুতা ১০ গ্রাম, জাল টাকা কাটার ছুরি তিনটি, একটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ‘দৈনিক মুক্ত খবর’ পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়পত্র ও ‘প্রেস’ লেখা স্টিকার যুক্ত একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ক্রাইম রিপোর্টার ২৪.কমকে জানান, র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের সহযোগী আলামিন ওরফে বাবু ওরফে কালাবাবু এবং তার স্ত্রী আসমা আক্তার টুকটুকি পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি জানান, এ চক্রের সদস্যরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ‘পরিবার’ পরিচয় দিয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া করতেন। পরে সেই ফ্ল্যাটেই তারা জাল নোট তৈরি করতেন। গ্রেফতারকৃত হামিদুর একটি আবাসন কোম্পানিতে ঠিকাদারের কাজের পাশাপাশি এ কাজ করতেন। হামিদুর রহমান নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মোটরসাইকেলে করে এসব জাল টাকা পরিবহন করতেন।